খেলাধুলা ডেস্কঃ ভালো ফিটনেস অনেক ক্রিকেটারের কাছেই সাফল্যের মূলমন্ত্র। বিরাট কোহলি তো ফিটনেস নিয়ে রীতিমতো রীতিমতো পাগল। শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে খাবার নিয়ে তাঁর সাবধানতার শেষ নেই। তাই বর্তমানদের মধ্যে ফিট ক্রিকেটারের তালিকায় কোহলির নামটা ওপরেই। কিন্তু ফিটনেস চর্চায় খাবার নিয়ে বাছবিচার করার ব্যাপারে ভিন্নমতও আছে। আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ তেমনই একজন ভিন্নমতাবলম্বী। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের সাফ কথা, কোহলির থেকে বড় ছক্কা মারতে পারলে খাবার (ডায়েট) নিয়ে তাঁর মতো খুঁতখুঁতে হওয়ার দরকার কি!

৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার শাহজাদের ওজন ৯০ কেজির বেশি। কিন্তু এই বেঢপ শরীরেই দারুণ মানিয়ে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তাঁর মারকুটে ব্যাটিংয়ের সামনে অনেক খ্যাতিমান বোলারই অসহায় হয়ে পড়েন। ফিটনেস ধরে রাখতে শাহজাদ যে পরিশ্রম করেন না তা নয়, তবে খাবারের ব্যাপারে তিনি কোনো বিধিনিষেধ মানেন না। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে ৩০ বছর বয়সী শাহজাদ বলেন, ‘ফিটনেস নিয়ে অনেক পরিশ্রম করি। তবে খাবারের ব্যাপারে কোনো বাছ-বিচার মানিনা। আমাকে দিয়ে কোহলির মতো ফিটনেস-রুটিন করাতে চাইলে সেটা অসম্ভব। তবে ওজন কমানো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

আফগানিস্তানের হয়ে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক শাহজাদের। মারমার-কাটকাট ব্যাটিং করতে ভালোবাসেন। জাতীয় দল কিংবা টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে তাঁর বেশ বড় বড় ছক্কা রয়েছে। তবে শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে তাঁর ভোগান্তির শেষ নেই। এই ওজন কমানোর চেষ্টা করতে গিয়েই গত বছর ধরা পড়েছিলেন ডোপ টেস্ট। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন গত জানুয়ারিতে।

শাহজাদের মতে, চাইলেই সবাই কোহলির মতো হতে পারবে না। ভারতীয় অধিনায়ক তাঁর ফিটনেস ধরে রাখতে যেভাবে বেছে বেছে ও পরিমিত পরিমাণে খাবার খান, তা সবার পক্ষে মেনে চলা অসম্ভব। আর তাই শাহজাদের প্রশ্ন, ‘আমি যদি কোহলির চেয়ে বড় ছক্কা মারতে পারি তাহলে তাঁর মতো ডায়েট (খাবার) মেনে চলার দরকার কি?’